নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে উল্টে গেল যাত্রীবোঝাই বাস , মর্মান্তিক দুর্ঘটনা

22nd December 2020 9:18 pm হুগলী
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে উল্টে গেল যাত্রীবোঝাই বাস , মর্মান্তিক দুর্ঘটনা


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  মঙ্গলবার বিকালে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ৩ জনের। ঘটনাটি ঘটে গোঘাট থানার অন্তর্গত গড় মান্দারণ এলাকায়।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,  কামারপুকুর থেকে হাজিপুর গামী একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে উল্টে যায়।  ঘটনাস্থলে তিনজনের মৃত্যু হয় বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। আহত হয় প্রায় ২০- ৩০ জন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েক জনকে কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে এবং আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিছু বাস যাত্রী শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের কলকাতা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ মুলত খুব জোরে আসছিল বাসটি। তাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে  এই বিপত্তি ঘটেছে বলে দাবি। তবে মৃত তিন জনের মধ্যে একজন মহিলা রয়েছে।কি কারণে দুর্ঘটনা ঘটলো তা খতিয়ে দেখছে গোঘাট থানার পুলিশ।বাসটিকে আটক করেছে এবং চালকের খোঁজে তল্লাসি চালাচ্ছে পুলিশ।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।